Menu

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

নরসিংদীতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ


নরসিংদীতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার রাতে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের রাজাদী গ্রামের কালীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও ভুক্তোভোগীর পরিবার জানায়, রোববার বিকেলে শিশুটি স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় রাজাদী গ্রামের কালীর বাজার এলাকায় পৌঁছালে তার গতিরোধ করে পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের কলার বেপারী আলামিন নামের এক বখাটে। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি কলার ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির অদূরে কলার ক্ষেতে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে অবস্থার অবনতি হলে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসে। এদিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন কত্যর্বরত চিকিৎসক।

হাসপাতালের বেডে কাতরাতে কাতরাতে শিশুটি বলে, ‌‘স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার এক সহপাঠীকে স্কুল ব্যাগটি বাড়িতে রেখে আসতে বলে দোকানে যাচ্ছিলাম। এ সময় একটা লোক আমার বাবার নাম জানতে চায়। এক পর্যায়ে আমার মুখে চাপ দিয়ে ধরে অন্ধকার একটি কলার ক্ষেতে নিয়ে যায়।’

নির্যাতিত শিশুটির রিকশাচালক বাবা বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির অদূরে একটি কলা ক্ষেতে গোঙানির শব্দ শুনতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি ধর্ষকের বিচার চাই।



সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য ওসি তদন্তের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুতই অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন